ঘাটাইলে ইউএনও’র পাতানো ফাঁদে ধরা নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রেতা

ঘাটাইলে ইউএনও’র পাতানো ফাঁদে ধরা নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রেতা

সৈয়দ মিঠুন ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার থানা পাড়ার মাদকসেবী আলালকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তাখানিক আগে ইউএনও অফিসে আসেন তার মা আনু। মায়ের অভিযোগ, মাদক সেবনের টাকা না দিতে পারলে ছেলে নাকি তাকে মারধর করেন। ছেলে যতদিন জেলখানায় থাকে ততদিন তিনি ভালো থাকেন। ছেলেও স্বেচ্ছায় জেলে যেতে রাজি।

  ইউএনও সবকিছু শুনে কি ধরণের মাদক সেবন করে তা আলালের কাছে জানতে চান। আলাল জানায় ব্যাথার ওষুধ ‘পেন্টাডল’ ট্যাবলেট।ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানোর আগে তাকে একটা শর্ত দেই, ওই ওষুধ আমাকে কিনে দেওয়ার শর্ত। তাতে আলাল রাজি হয়।

পরে তাকে দিয়ে নিষিদ্ধ ওই ওষুধ কারা বিক্রি করেন তাদের ধরতে ফাঁদপাতি। গেল মঙ্গলবার পূর্বের দেওয়া কথা অনুযায়ী  সে আমার অফিসে আসে। আমার স্বাক্ষরিত ৫শ’ টাকার দুটি নোট দিয়ে ওই ওষুধ তাকে কিনতে পাঠাই। পরে সে ওই ওষুধ নিয়ে হাজির হয়। তার দেওয়া তথ্যানুসারে পৌর এলাকার বাজার জামে মসজিদের পাশে দুই ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করি।

এ সময় দেওয়ান মেডিক্যাল হল ও লুনা মডেল মেডিসিন সপে ওই ওষুধ পাওয়া যায়। তিনি বলেন আমার স্বাক্ষরিত সেই ৫শ’ টাকার নোটও দুই দোকানদারের কাছে মিলে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে লুনা মডেল মেডিসিন সপের মালিক আশরাফ আলীকে ১ লাখ ও দেওয়ান মেডিক্যাল হলের মালিক দেওয়ান রায়হান উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় দু’টি দোকানই সীলগালা করা হয়। ইউএনও আরও বলেন, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এই ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনেকদিন ধরেই এ চক্রটি মাদকসেবীদের কাছে এই ধরণের ওষুধ বিক্রি করে আসছিল বলে জানতে পারি।

১৫ টাকার প্রতিটি ট্যাবলেট তারা বিক্রি করতেন ২শ’ টাকায়। অন্যান্য ওষুধ বিক্রির আড়ালে তারা এ কাজ করতেন। পেন্টাডল, ট্যাপেন্টা ইত্যাদি নামে এটি বাজারজাত করে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি।এদিকে আলাল ও তার মাকে দেওয়া কথা রেখেছেন ইউএনও। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আলালকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন